নতুন ইউটিউবারদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভুল

প্রিয় পাঠকগণ ,আপনারা জানেন আমি তাদের কথা মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখি যারা অনলাইনে আয় করা শুরু করতে চান অর্থাৎ যারা একদম নতুন তাদের সমস্যা, প্রশ্ন, সমাধান নিয়ে আমার আর্টিকেল গুলো লেখা। বর্তমানে আমি ইউটিউব থেকে আয় করার বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখছি ।এর আগে আমি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় ঘরে বসে তাও শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ডিভাইসের সাহায্যে তা নিয়ে আলোচনা করেছি । আর্টিকেল গুলো যারা পড়েন নাই তারা পড়ে নিবেন আশা করছি ।আপনাদের মাঝে যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে তাদের জন্য ব্লগ লিখে আয় করাটা অনেক সহজ। আশা করি নতুন ব্লগারদের জন্য উপকার হবে আর্টিকেল গুলো। আসুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।

নতুন ইউটিউবারদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভুল

প্রিয় পাঠকগণ ,আপনারা জানেন আমি তাদের কথা মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখি যারা অনলাইনে আয় করা শুরু করতে চান অর্থাৎ যারা একদম নতুন তাদের সমস্যা, প্রশ্ন, সমাধান নিয়ে আমার আর্টিকেল গুলো লেখা। বর্তমানে আমি ইউটিউব থেকে আয় করার বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখছি ।এর আগে আমি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় ঘরে বসে তাও  শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ডিভাইসের সাহায্যে তা নিয়ে আলোচনা করেছি । আর্টিকেল গুলো যারা পড়েন নাই তারা পড়ে নিবেন আশা করছি ।আপনাদের মাঝে যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে তাদের জন্য ব্লগ লিখে আয় করাটা অনেক সহজ। আশা করি নতুন ব্লগারদের জন্য উপকার হবে আর্টিকেল গুলো। আসুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।

সুপ্রিয় পাঠকগণ ,আর্টিকেল এর হেডলাইন দেখে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে আমরা আজ আলোচনা করব নতুন ইউটিউবারদের কিছু মিসটেক নিয়ে। আশা করি নতুন ইউটিউবারদের জন্য আর্টিকেলটি অনেক উপকারী হবে।

অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে আমি আমার চ্যানেলে রেগুলার ভিডিও আপলোড করি কিন্তু তবুও আমার চ্যানেল গ্রো হয় না বা ভিউ আসে না। কেন এমন হয়?

 

আসলে এই প্রশ্নটার এক বাক্যে দেয়ার মত কোন উত্তর আমার জানা নেই ।একাধিক কারণে তাদের ভিডিওতে ভিউ আসে না বা তাদের চ্যানেলটি জনপ্রিয় হয় না। এই একাধিক মিসটেক গুলো নতুন ইউটিউবারদের জানা খুবই প্রয়োজন ।নয়তো চ্যানেলে ভিউ আসবেনা বা গ্রো করবেনা এবং এগুলোকে যদি আপনি চিন্হিত না করেন তাহলে আপনি আগামী দিনেও ভিউ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই নতুন ইউটিউবাররা কি কি মিসটেক করে এবং এই মিসটেক গুলো কিভাবে ওভারকাম করা যায়।

 

* প্রথম মিস্টেক হলো ইন এপ্রোপ্রিয়েট টাইটেল (Inappropriate title).  ইন এপ্রোপ্রিয়েট টাইটেল মানে হল সঠিক টাইটেলটি না দেওয়া। অনেক নতুন ইউটিউবার আছে যারা সঠিক টাইটেল দেয় না বা টাইটেলের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করে না। প্রোপার টাইটেল দেয়ার আগে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে তারপর টাইটেল দিতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই জরুরী কারণ কিওয়ার্ড সঠিকভাবে রিচার্জ না করলে আপনার টাইটেলটি ভিডিওর সার্চ রেজাল্টে আসবে না এবং সার্চ রেজাল্টে না আসলে আপনি অর্গানিক ভিউ পাবেন না । অনেক  ইউটিউবার তাদের রিজনাল ল্যাঙ্গুয়েজে টাইটেল দিয়ে থাকে। কিন্তু সব সময় চেষ্টা করবেন টাইটেলটা ইংরেজিতে দিতে। যদি আমরা বড় জনপ্রিয় কোন চ্যানেলে টাইটেল দেখি তাহলে দেখা যাবে সেগুলো ইংরেজিতে দেওয়া। তবে যদি আপনি আপনার দেশের মানুষদের টার্গেট করে ভিডিও বানিয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার নিজস্ব ভাষায় বা ঐ দেশের ভাষায় টাইটেল দিতে পারেন।

আপনি যদি ইংরেজিতে টাইটেল দেন তাহলে সেই ভিডিও রেঙ্ক করার চান্স অনেক বেড়ে যায় এবং পরবর্তীতে মনিটাইজেশনের সময় সেই সব চ্যানেল তাড়াতাড়ি মনিটাইজেশন পায় অর্থাৎ এড আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক। কারণ ইউটিউব মনে করে এই ভিডিওর টাইটেলটি ইংরেজিতে হওয়ার কারণে অধিক মানুষ এটা দেখবে। কারণ রিজনাল ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলে অল্প সংখ্যক মানুষ কিন্তু ইংরেজিতে অনেক মানুষ কথা বলে। প্রায় সব দেশেরই দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি ।ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের ব্যাপকতার জন্য ইংরেজি টাইটেল দিলে ভিউ বেশি হবে। ইউটিউব সেখানে এড দিতে চাইবে যেখানে ভিউ বেশি হবে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন ইংরেজিতে টাইটেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

টাইটেল হলো একমাত্র জিনিস যেটা SEO কে এগিয়ে নিয়ে যায়। অনেকেই হ্যাশট্যাগ এ টাইটেল ভরিয়ে দেয়। আবার অনেকেই নিজেদের চ্যানেলের নাম টাইটেল এর শুরুতে দিয়ে দেয় এতে টাইটেলটি অনেক বড় দেখায়। এরকম একদমই করা যাবে না। অনেকে আবার বিনা কারণে ইংরেজি ও রিজনাল ল্যাঙ্গুয়েজ মিক্স করে টাইটেল দেয়। বিনা প্রয়োজনে এভাবে টাইটেল দেওয়া উচিত না। সবসময় চেষ্টা করবে নিট এন্ড ক্লিন সিম্পল টাইটেল দেয়ার জন্য। কিভাবে একটা সুন্দর টাইটেল দিতে হবে পরিপূর্ণভাবে SEO করে সেই সম্পর্কে আমি পরবর্তীতে আর্টিকেল লিখব যদি আপনারা কমেন্ট করে এবং ফলো করে আমাকে উৎসাহ প্রদান করেন। যেহেতু আজ আমার টপিক এটা না তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি না।

* দ্বিতীয় মিসটেক টি হলো ইন এপ্রোপ্রিয়েট ট্যাগস (inappropriate tags)। অনেক ইউটিউবার ট্যাগ দেওয়াকে একদমই গুরুত্ব দেয় না। নিজের ইচ্ছামত ট্যাগ দিয়ে দেয়। প্রোপার কিওয়ার্ড রিসার্চ করে না। কিছু ট্যাগ দিল তো কিছু ট্যাগ দিল না। প্রোপার ট্যাগ রিসার্চ করল না। মনে যা আসলো তাই বসিয়ে দিল। এমন করলে হবে না। কারণ ট্যাগ আপনার ভিডিও রেঙ্ক করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্যাগ গুলোই কিন্তু কোন ভিডিওকে সাজেস্টেড লিস্টে পাঠায়। তাই অবশ্যই প্রোপার কী ওয়ার্ড রিসার্চ করে প্রোপার ট্যাগ অবশ্যই দিতে হবে। এছাড়াও অ্যাড আসার জন্য এইটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তাই চেষ্টা করবেন প্রপারলি রিসার্চ করে ট্যাগ দিয়ে আপনার ভিডিও আপলোড দেওয়ার। মনগড়া কোন ট্যাগ দিবেন না।

আজ আমরা আরো কিছু মিসটেক নিয়ে আলোচনা করব ।তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

 

* তৃতীয় মিস্টেক হলো ইন এপ্রোপ্রিয়েট থাম্বেল (inappropriate thumbnail)। ইন এপ্রোপ্রিয়েট থাম্বেল মানে সঠিক থাম্বেল না দেওয়া। এই সঠিক থাম্বেল না দেওয়ার মধ্যে সাধারনত দুই ধরনের মিসটেক আমরা দেখে থাকি।

 একটি হলো কিছু কিছু মানুষ নিজেদের থাম্বেলে এমন কিছু ছবি দিয়ে দেয় যেটা দেখে এক শ্রেণীর দর্শন আকৃষ্ট হয়। যেমন যৌন উত্তেজক ছবি বা সুন্দরী কোন মেয়ের ছবি। এই ধরনের ভিডিও গুলো কিছু কিছু ক্লিকবেটের পর্যায়ে পড়ে যায়। ইউটিউব যদি একবার বুঝে নেয় বা ক্লিকবেটের পর্যায়ে পড়ে যায় তাহলে ইউটিউব থেকে আপনার ভিডিওটি আর অর্গানিক লিস্টে ফেলবে না বা অর্গানিক ভাবে আপনার ভিডিও প্রমোট করা বন্ধ করে দিবে। যেটা আপনার চ্যানেলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। 

দ্বিতীয় যেটা চোখে পড়ে তা হল আলতু ফালতু থাম্বেল দিয়ে দেওয়া। কিছু কিছু নতুন ইউটিউবার আছে যারা মনে যেমন চায় তেমন একটা থাম্বেল দিয়ে দেয়। অনেকেই তো কোন কাস্টম থাম্বেল দেয় না অর্থাৎ নিজের কোন থাম্বেল না বানিয়ে কোথাও থেকে একটা ছবি এনে থাম্বেল হিসাবে দিয়ে দেয়। আবার অনেকেই নিজের কন্টেন্ট এর সাথে মিল রেখে থাম্বেল না বানিয়ে দর্শক আকৃষ্ট হয় এমন একটি থাম্বেল বানিয়ে দিয়ে দেয়। এ ধরনের ভুল করলে ইউটিউব সেইসব চ্যানেলকে আর মনিটাইজেশন দেয় না। ইউটিউব এর নতুন পলিসি অনুযায়ী এ ধরনের জগাখিচুড়ি মার্কা ভিডিও আর মনিটাইজেশন পাবে না যেখানে কন্টেন্ট ও থাম্বেল এর কোন মিল নেই। আপনারা চাইলে মনিটাইজেশনের ট্রামস এন্ড কন্ডিশন সম্পর্কে আমার একটি আর্টিকেল আছে সেটি দেখে আসতে পারেন অথবা ইউটিউব মনিটাইজেশন এর নতুন ট্রামস এন্ড কন্ডিশন গুলো দেখে নিতে পারেন। গুগলের সার্চ দিয়ে আপনি সহজেই ইউটিউব মনিটাইজেশনের ট্রামস এন্ড কন্ডিশন গুলো পেয়ে যাবেন। সুতরাং সামান্য কিছু দর্শক আকৃষ্ট করতে এ ধরনের কাজ কখনো করা যাবে না। তাহলে আপনার সব পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে। তাছাড়াও এটা দৃষ্টিকটু লাগে। একজন আপনার থাম্বেল দেখে ভিডিওতে ঢুকে দেখল কন্টেন্ট পুরোই ভিন্ন। যা দেখে ভিডিওতে যতই ভাল কন্টেন্ট থাকুক না কেন ভিডিওটি আর না দেখার সম্ভাবনা থেকে যায়‌। ফলে ওয়াচ টাইম তেমন ভালো পাওয়া যায় না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সঠিক কন্টেন্টের  সঠিক থাম্বেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

 

* চতুর্থ মিসটেক বেড অডিও কোয়ালিটি (Bad audio quality)। বেড অডিও কোয়ালিটির জন্য আপনার তথ্য বহুল কন্টেন্টটি জনপ্রিয়তা হারাতে পারে। অনেক ইউটিউবার এটা একদমই গুরুত্ব দেয় না। যেখানে সেখানে যেমন তেমন ভাবে একটা ভিডিও বানিয়ে ফেলে। অনেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিডিও বানায় পিছনে সবজিওয়ালা সবজি সবজি বা মুরগি ওয়ালা মুরগি নেবেন মুরগি নেবেন বলে চিৎকার করতে থাকে এর ফলে আপনার দর্শক আপনার কন্ঠটা ঠিকমত শুনতে পায় না আবার অনেকে কোন কারখানা বা জোরে শব্দ হয় এমন কোন স্থানে ভিডিও বানায় ফলাফলস্বরূপ তার কথা দর্শক না শুনে কারখানার শব্দটাই বেশি শুনে। আমি তো এমন কিছু ভিডিও দেখেছি যেখানে ইউটিউবার কথা বলছে ঠিকই কিন্তু সেই সাথে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে রেখেছে এতে  দর্শকেরা খুবই বিরক্ত হয়। আপনার সাউন্ড কোয়ালিটি যদি ভালো না হয় তাহলে আপনার প্রতি দর্শকদের একটা প্রফেশনাল মনোভাব তৈরি হবে না আর একজন দর্শক চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে তখনই যখন দেখে সেই বিষয়ের উপর ঐ চ্যানেলটি প্রফেশনাল ভিডিও আপলোড করছে। তাই সাউন্ড সিস্টেম ভালো হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

অনেকে বলতে পারেন যদি কারখানা বা রাস্তায় বানানোর মতো কোনো কনটেন্ট হয় সে ক্ষেত্রে কি করব? আমি তো আর আমার জন্য পুরো রাস্তা ব্লক করে দিতে পারি না ।সে ক্ষেত্রে আপনি ভিডিওটা ধারণ করার পর এডিটিং এর মাধ্যমে সাউন্ড জুড়ে দিতে পারেন। এ ধরনের কাজ গুলো খুব সহজেই ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে শিখে নিতে পারেন। তাই ঠিক-ঠাক গেজেট ইউজ করুন এবং একটা নিট এন্ড ক্লিন অডিও আপনার ভিডিওতে দেয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যা বলছেন তা যেন আপনার দর্শক ভালোভাবে বুঝতে ও শুনতে পারে।

 

* নতুনরা পঞ্চম যে মিস্টেক করে থাকে তা হল পোর কনটেন্ট কোয়ালিটি (poor content quality)। ধরুন কোন ভিডিও আপনি আপলোড দিলেন। সেটা হতে পারে কুকিং ,স্পোর্টস বা টেক রিলেটেড। আপনি যেই ভিডিও আপলোড করেছেন তা যে শুধু আপনি আপলোড করেছেন এমন কিন্তু নয়। বর্তমানে এত ইউটিউব চ্যানেল হয়েছে যে আপনি যে রিলেটেড ভিডিও দেন না কেন কম্পিটিটর অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে আপনার কনটেন্ট অবশ্যই সুন্দর এবং ব্যতিক্রমী হতে হবে।

ভাল কন্টেন্ট না হলে মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে না কারণ অনেকে ভাল কন্টেন্ট দিচ্ছে। তাই অবশ্যই গতানুগতিক কন্টেন্ট না দিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু দেয়ার চেষ্টা করুন। নতুন কিছু যদি ভাল হয় তাহলে সবাই সেটার প্রতি আকৃষ্ট হয়।

 

* ষষ্ঠ মিসটেক। নতুন ইউটিউবার যে ভুলটি করে থাকে সেটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার। অনেকেরই এমন ধারণা আছে যে আমরা যে ভিডিও আপলোড করলাম সেটা যদি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার ,মেসেঞ্জার ইত্যাদিতে শেয়ার করে দেই তাহলে হয়তো ভিউ বেশি হবে, অনেকে দেখবে। কিন্তু আসলে তা হয় না। সবাই তো আর দেখেনা। যদি ধরে নেই দশ পার্সেন্ট মানুষ দেখে সেটাও আপনার জন্য দেখে। আপনার কনটেন্ট ভালো হয়েছে বলে দেখেনা। যারা এমন আপনার মুখের দিকে চেয়ে দেখে তারা কিন্তু পুরোটা দেখেনা। তারা ভিডিওটি টেনে টেনে দেখে। এভাবে দেখলে অডিয়েন্স ডিটেনশন কিন্তু আপনি পাবেন না। যদি আপনার ভিডিওতে অডিয়েন্স ডিটেনশন কম হয় তাহলে ইউটিউব অর্গানিক ভাবে ওই ভিডিও প্রমোট করা বন্ধ করে দেয়। ফলে ওই শেয়ারেই যা ভিউ আসার আসে ,পরে আর ভিউ আসে না। তাই এই কাজটি কখনোই করা যাবে না।

* নতুন ইউটিউবারদের ভুল গুলোর মধ্যে সপ্তম যে ভুলটি আমি খুজে পেয়েছি সেটা হলো ওয়াচ ওন কন্টেন্ট (watch own content)। অর্থাৎ নিজের ভিডিও নিজেই দেখা। ইউটিউব যদি বুঝতে পারে একই আইপি থেকে বা একই ডিভাইস থেকে বারবার কোন ভিডিও দেখা হচ্ছে তাহলে ইউটিউব অর্গানিক প্রমোট করা বাদ দিয়ে দেয়। তাই নিজের ভিডিও নিজেই বারবার দেখা উচিত নয় অথবা কিছু বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজন দিয়ে বারবার দেখানো উচিৎ নয়। তাই এধরনের কাজ করা যাবে না বা করলেও অনেক দিন পর পর করতে হবে যেন স্পাম না হয়ে যায়।

 

* অষ্টম মিস্টেক হলো আপলোড টাইম (upload time)। অনেক ইউটিউবার ভুলভাল টাইমে নিজেদের ভিডিও আপলোড করে দেয়। কেউ রাত বারোটায়, কেউ কেউ রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ে দেয় আবার কেউ কেউ দিয়ে দেয় খুব সকালে। এমন করলে হবে না। আপনার কন্টেন্টটি যে ক্যাটাগরির সেই ক্যাটাগরির উপর যেসব সাকসেসফুল ইউটিউব চ্যানেল আছে তারা কখন আপলোড করছে আপনাকে সেটা খেয়াল করতে হবে। আপনিও সেই সময়ে আপনার ভিডিও আপলোড করুন কারণ তখন ভিউ বেশি আসে।

প্রথম প্রথম আপনাকে অন্যদের চ্যানেল ফলো করতে হবে। ধীরে ধীরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কখন আপলোড করতে হয়। যেমন ধরুন আপনি যদি অনলাইনে আয় রিলেটেড চ্যানেল খুলে থাকেন তাহলে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সাধারণত মানুষ অনলাইনে আয় করতে চাইলে তাদের বর্তমান পেশার পাশাপাশি আয় করতে চায়। অর্থাৎ তাদের আরেকটি ইনকাম সোর্স থাকে। খুব কম মানুষই আছে যারা পুরোপুরি অনলাইন আয় এর উপর নির্ভর করে এবং তাদের বেশিরভাগ অলরেডি সফল। তাই আপনি ধরে নিতে পারেন সফলেরা আপনার ভিডিও দেখবে না বা কম দেখবে। তাহলে দেখবে কে? অবশ্যই যারা নতুন তারা। এখন কথা হচ্ছে যারা নতুন তারা কোন না কোন কাজ করছে, তার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করতে চায়। হয়তো তারা স্টুডেন্ট ,ব্যাবসায়ী অথবা চাকুরিজীবী। এই ধরনের দর্শকেরা সাধারণত  ক্লাস বা কোর্স গুলো করে থাকে রাতে বা সন্ধ্যার দিকে। এবং এই রিলেটেড টিউটোরিয়ালগুলো দেখে তারা আরও বেশি শিখতে চায়।

যারা স্টুডেন্ট তারা যদিও রাতে দেখতে পারে কিন্তু যারা ব্যবসায়ী বা চাকুরীজীবী তাদের এই ভিডিওগুলো রাতে ক্লাস করার পর দেখা হয়ে ওঠেনা বা অনেক ক্লান্ত থাকার কারণে দেখার ইচ্ছা থাকে না। চাকুরীজীবী বা ব্যবসায়ীরা সাধারণত অফিস বা ব্যবসার কাজ গুছিয়ে সকাল এগারোটা থেকে পাঁচটার মধ্যে যদি সুযোগ পায় তাহলে দেখে নেয়। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে অনলাইনে আয় রিলেটেড ভিডিও গুলো সকাল দশটা থেকে বারোটার মধ্যে আপলোড করতে।

আবার ফানি ভিডিও বা গানের ভিডিওগুলোর ক্ষেত্রে সময়টা একদম পরিবর্তন হয়ে যায়। করণ অফিস ,ক্লাস‌ বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে কেউ ফানি বা গানের ভিডিও দেখে না। এটা দৃষ্টিকটু লাগে। ধরুণ আপনি অফিসে বসে ফানি ভিডিও দেখছেন পিছনে আপনার বস বা কলিগ এসে দেখল। তাহলে বুঝুন ব্যাপারটা কেমন হয়। আবার সেই একই ব্যক্তি যদি শিক্ষনীয় কোন চ্যানেল দেখে বা শেখার কোন জিনিস দেখে তাহলে ব্যাপারটা এতটা খারাপ লাগে না যতটা লাগে ফানি ভিডিও দেখলে।

এই ধরনের ভিডিও গুলো মানুষ সাধারণত সারাদিন কাজ শেষে বাসায় এসে রিলাক্স হয়ে তারপরে দেখে। তখন কিন্তু আবার শিক্ষনীয় কোন বিষয় দেখতে ভালো লাগে না। কর্মব্যস্ত দিন পার করার পর রাতে মানুষ প্রশান্তির জন্য ফানি চ্যানেল বা গানের চ্যানেল গুলো দেখে থাকে। তাই সেই সময় এ ধরনের চ্যানেলগুলোতে ভিউ বেশি আসে। পাঠকগণ আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ভিডিও আপলোডে  সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 

* নবম সমস্যা আপলোড ফ্রিকোয়েন্সি সমস্যা (upload frequency)। অনেকেই এমন আছেন মনে হলো তো পরপর কয়েকটা ভিডিও আপলোড করে দিল তারপর বেশ অনেকদিন তার আর দেখা নেই। এমন করলে হবে না। আপনাকে একটি প্রপার ফ্রিকোয়েন্সি মেন্টেন করতে হবে। একটা ধারাবাহিকতা মেনে চলতে হবে। আপনি যদি পাঁচ দিন বা ছয় দিন পর পর ভিডিও আপলোড দেন তাহলে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আপনি যদি সপ্তাহের দুটি ভিডিও দেন তাহলে তাই দিতে চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে।  দুই এক বার কমবেশি হতে পারে তবে এমন যেন না হয় একটা ভিডিও আপলোড দিলেন তারপর একমাস আপনি উধাও। একমাস পর আবার কোথায় থেকে উড়ে এসে আর একটি ভিডিও আপলোড করলেন।

সত্যি বলতে কি বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রত্যেক ইউটিউবারের এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই চেষ্টা করতে হবে আপলোডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। আর নতুন হলে তো অবশ্যই।

 

* দশ নাম্বার সমস্যা। সাব ফর  সাব (sub for sub)। অনেক নতুন ইউটিউবাররা বেশি ভিউ ও ওয়াচটাইম  পাওয়ার জন্য অন্যের ভিডিওতে যেয়ে কমেন্ট করে থাকে আপনারা আমার ভিডিও দেখুন বা সাব  করুন আমি সেম ব্যাক দিবো। সেখানে লিঙ্ক দিয়ে দেয় তার ভিডিওর। ইউটিউব কিন্তু পরিষ্কার বলে দিয়েছে সাব ফর সাব করা যাবে না। আপনারা চাইলে youtube-এর পলিসি দেখে আসতে পারেন। আপনি অবশ্যই অন্যের ভিডিওতে কমেন্ট করতে পারেন তবে সব যায়গায় যেয়ে লিঙ্ক দেওয়া বা সাব ফর সাব জাতীয় কমেন্ট করা যাবে না।

সুপ্রিয় পাঠকগণ যেগুলো আমি বললাম এগুলো আমার মনের কথা না ।বহুদিন ধরে পর্যালোচনা করে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছি। আশা করছেন নতুন ইউটিউবাররা এই ভুলগুলো আর করবে না। আজ এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে ইউটিউব এর উপর নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব। আমাকে ফলো দিয়ে আমার সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদ।